খেলাধুলার নিয়ম কানুন (ক্রিকেট, ফুটবলের) সকল নিয়ম



ক্রিকেট খেলার নিয়মাবলী :-


ক্রিকেট খেলার উৎপত্তি কীভাবে ও কোথায় হয়েছিল তা সঠিকভাবে বলা খুবই কঠিন। তবে এটুকু অনুমান করা যায় যে, এই খেলা ইংল্যান্ডে প্রথম আরম্ভ হয়েছিল। 1775 সালে ইংল্যান্ডের মেলবাের্ন ক্রিকেট ক্লাব (MCC) গঠিত হয়। 1877 সালে মেলবাের্ন-এর মাঠে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে প্রথম টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। 1909 সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দপ্তর (ICC) গঠিত হয়। এর সদর দপ্তর দুবাই। 1927 সালে দিল্লিতে ভারতীয় ব্রিকেট কন্ট্রোল বাের্ডের উৎপত্তি হয়। বর্তমানে 5 দিনের টেস্ট ক্রিকেট, 50 ওভারের সীমিত ক্রিকেট ও 20 ওভারের T-20 আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রচলিত আছে।



নিয়ম কানুন :-


1. ক্রিকেট খেলার পিচ 20.12 মিটার (22 গজ) লম্বা এবং 3.05 মিটার চওড়া হয়। এই পিচের


ঠিক মাঝখান থেকে 65 গজ থেকে 75 গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত টানা হয়। এটিই হল ক্রিকেট মাঠ। পিচের 20.12 মিটার ব্যবধানে দপ্রান্তে ওটি করে উইকেট পোঁতা থাকে। বোলিং ক্রিজ 2.64 মিটার (৪ ফুট ৪ ইঞ্চি) লম্বা হয়। বালিং ক্রিজ থেকে 1.22 মিটার দূরে এবং বোেলিং ক্রিজের সমান্তরাল বরাবর 3.66 মিটার দাগ টানা থাকে যাকে পপিং ক্রিজ বলে। পপিং ক্রিজের মাঝখানে তিনটি করে দুদিকে 6টি স্ট্যাম্প লাগানাে থাকে। পপিং ক্রিজ থেকে 2.44


মিটার পিচের ভিতরের দিকে অর্থাৎ বােলিং ব্রিজ থেকে 1.22 মিটার দূরের অংশকে রিটার্ন


ক্রিজ বলে। রিটার্ন বক্লিজ 2.64 মিটার লম্বা ও 1.22 মিটার চওড়া হয়।



2. দুই সেট উইকেট বিপরীত মুখে 20.12 মিটার দূরে পিচের দুই প্রান্তে লাগান থাকে। প্রতি সেট


উইকেট 22.86 সেমি চওড়া হয় এবং তা তিনটি কাঠের স্ট্যাম্প দ্বারা গঠিত হয়। প্রতিটি


স্ট্যাম্প বা উইকেট মাটি থেকে 71.1 সেমি (28 ইঞ্চি) উচ্চতাবিশিষ্ট হয়। তিনটি উইকেটের


মাঝে দুটি বেল ওপর দিকে সংযুক্ত থাকে। প্রতিটি বেল 11.1 সেমি লম্বা হয়।



3. ক্রিকেট বলের ওজন কখনােই 163 গ্রামের বেশি ও 155.9 গ্রামের কম হয় না। বলের


পরিধি 22.4 সেমি থেকে 22.9 সেমির (৪ থেকে 9 ইঞ্চি) মধ্যে হয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে


বলের ওজন 140 গ্রাম থেকে 151 গ্রাম ও পরিধি 21.0 সেমি থেকে 22.5 সেমি হয়।



4. ক্রিকেট ব্যাট 96.5 সেমি (38 ইঞ্চি) লম্বা ও 10.8 সেমি (4 ইঞ্চি) চওড়া হয় এবং তা কাঠের


নির্মিত হয়। ব্যাটের ওজনের কোনাে সীমাবদ্ধতা নেই।



5. ক্রিকেট খেলায় প্রতি দলে 11 জন করে খেলােয়াড় থাকে, যার মধ্যে একজন দলনায়ক ও


একজন উইকেটরক্ষক থাকে। চোট বা অসুস্থতা কারণে কোন খেলােয়াড় খেলতে অসমর্থ হলে তার বদলে অতিরিক্ত খেলােয়াড় মাঠে নামানাে যেতে পারে, তবে সে শুধুই ফিল্ডিং করতে পারবে। অসুস্থতা বা আঘাতজনিত কারণে কোনো ব্যাটস্ম্যান দৌড়াতে অসমর্থ হলে একজন রানার ব্যবহার করা যেতে পারে।



6. অ্যাম্পায়ার প্লে উচ্চারণের সঙ্গে খেলা শুরু হবে এবং ঢাইম" উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে উইকেটের বেল তুলে খেলা শেষ হবে।



7. নাে বলের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত আডট হতে পারে যথা হিট দ্য বল টোয়াইস', 'রান আউট হ্যান্ডলড দ্য বল এবং অবস্ট্রাক দ্য ফিল্ড'।



8. ফিল্ডিং দলের ব্যবহৃত মাঠে অবাস্থত হেলমেট বা কোনাে বস্তুতে বল লাগলে ব্যাটিং দলকে 5 রান অতিরিক্ত দেওয়া হয়।


How to play cricket


9. যদি কোনাে ব্যাটসম্যান ইচ্ছাকৃতভাবে ফান্ডিং দলের খেলােয়াড়কে বল ধরার সময় বাধাদান


করে, তবে তাকে অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড হিসেবে আউট ঘােষণা করা হয়।



10. ক্রিকেট খেলায় একজন অ্যাম্পায়ার, এফজন লেগ আম্পায়ার, একজন থার্ড আম্পায়ার,


একজন স্কোরার, একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট স্কোরার ও একজন ম্যাচ রেফারি থাকেন।


ফুটবল খেলার আন্তর্জাতিক নিয়মাবলী


ফুটবল খেলার আন্তর্জাতিক নিয়মাবলী; এই নিয়মগুলো জানা না থাকলে ফুটবল খেলতে গিয়ে পড়তে হবে নানা বিড়ম্বনায়। ফুটবল খেলার আন্তর্জাতিক নিয়মাবলীতে একটি দলে কতজন খেলোয়াড় থাকবে, খেলার সময়সীমা, মাঠ এবং বলের আকার, ফাউলের ধরন ও প্রকৃতি যাতে রেফারিরা শাস্তি দিতে পারে তার ধরন, বারংবার ভুল ব্যাখ্যা করা অফসাইড আইন এবং অন্যান্য অনেক আইন উল্লেখ করা হয়েছে যা এই খেলাটিকে সঠিকভাবে বর্ণনা করে। বর্তমানে VAR সিস্টেম চালু করা হয়েছে যাতে কোনো ধরনের ভুল না হয়।



ফুটবল খেলার আন্তর্জাতিক নিয়মাবলী


মাঠ নির্বাচন


ফুটবল খেলার জন্য আন্তর্জাতিক ফুটবল মাঠের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ১১০ মিটার (১২০ গজ), সর্বনিম্ন ১০০ মিটার (১১০ গজ) এবং সর্বাধিক প্রস্থ ৭৫ মিটার (৮০ গজ), সর্বনিম্ন ৬৪ মিটার (৭০ গজ)। মাঠের স্পটগুলো (টাচলাইন, গোললাইন, মধ্যরেখা, মাঝখানের বৃত্ত, পেনাল্টি স্পট, কর্নার নেওয়ার জায়গা ও ফ্ল্যাগ পোস্ট) অবশ্যই পরিষ্কারভাবে দৃশ্যমান থাকতে হবে। গোলপোস্টে দুটি বারের দূরত্ব ৭.৩২ মিটার (আট গজ) এবং উচ্চতায় ২.৪৪ মিটার (আট ফুট)।


বল নির্বাচন


ফুটবল খেলার জন্য গোলাকার বলের পরিধির মাপ সর্বোচ্চ ৭০ সেন্টিমিটার হতে হবে, সর্বনিম্ন ৬৮ সেন্টিমিটার। ফুটবল ম্যাচ শুরুর সময় বলের ওজন সর্বোচ্চ ৪৫০ গ্রাম, সর্বনিম্ন ৪১০ গ্রাম। কোনো সময় বল নষ্ট হয়ে খেলা বন্ধ হয়ে গেলে সেখান থেকে খেলা আবার শুরু হবে বল ড্রপিংয়ের মাধ্যমে।


খেলোয়াড় ও খেলোয়াড়দের পোশাক


ফুটবল খেলার সময় দুই পক্ষের খেলোয়াড় সংখ্যা ১১ জন করে মোট ২২জন । প্রত্যেক খেলোয়াড়ই জায়গা পরিবর্তন করতে পারবেন। এমনকি গোলরক্ষকও জায়গা পরিবর্তন করে খেলতে পারবেন। খেলা শুরু করতে প্রতি দলে কমপক্ষে ১১ জন করে খেলোয়াড় মাঠে থাকতে হবে।


প্রতি দলের খেলোয়াড়দের নির্দিষ্ট জার্সি, শর্টস, মোজা, শিন গার্ড, বুট পড়তে হবে এবং গোলরক্ষকদের পোশাক হবে আউটফিল্ডের খেলোয়াড়দের চেয়ে আলাদা।


রেফারি ও সহকারী রেফারি


বিশ্বব্যাপী ফুটবল খেলার মানোন্নয়নে সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী সংস্থা ফিফা ১৭টি আইনের কথা উল্লেখ করেছে। তন্মধ্যে ৫নং ধারার মাধ্যমে খেলা পরিচালনার জন্য রেফারী এবং সহকারী রেফারীর দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে।


ফুটবল খেলার সময় রেফারীর সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। সহকারি রেফারিগণ কর্নার কিক, থ্রো-ইন, অফসাইডের সিদ্ধান্ত দিয়ে মূল রেফারিকে সাহায্য করবেন।যদিও মূল রেফারির বাঁশিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে।


হলুদ কার্ড


একটি পরিপূর্ণ ম্যাচে রেফারি সাতটি কারণে হলুদ কার্ড প্রদর্শন করতে পারেন,


প্রথম, খেলার নিয়ম সম্পর্কে কোনরকম বিরুদ্ধতা করলে।

দ্বিতীয়, অখেলোয়াড়োচিত,অশোভন শব্দ কিংবা আচরণের জন্য।

তৃতীয়, অনেকটা ইচ্ছাকৃতভাবে মাঠের বাইরে চলে গেলে।

চতুর্থ, আবার খেলা শুরু করতে দেরি করলে।

পঞ্চম, কর্নার কিক বা ফ্রি-কিক নেওয়ার সময় নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়ানোর নিয়ম না মানলে।

ষষ্ঠ, রেফারির অনুমতি ছাড়া মাঠের বাইরে থেকে ভেতরে প্রবেশ করলে।

সপ্তম, রেফারির আদেশ ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে মাঠের বাইরে চলে গেলে।


লাল কার্ড


ফুটবল খেলার আন্তর্জাতিক নিয়মাবলীর মধ্যে রেফারি ছয়টি কারণে কোনো খেলোয়াড়কে লাল কার্ড দেখাতে পারেন,


প্রথম,গুরুতর ফাউল করলে।

দ্বিতীয়, কাউকে হিংস্রভাবে আঘাত করলে।

তৃতীয়, প্রতিপক্ষের কোনো খেলোয়াড় কিংবা রেফারিকে থুথু দিলে।

চতুর্থ, প্রতিপক্ষের গোল মেনে না নিলে অথবা হাত দিয়ে গোল করার চেষ্টা করলে।

পঞ্চম, অসম্মানজনক বা অশ্লীল মন্তব্য করলে।

ষষ্ঠ, একই ম্যাচে কোনো খেলোয়াড়কে প্রথম হলুদ কার্ডে দেখানোর পর দ্বিতীয়বার হলুদ কার্ড দেখানো হলেই তা লাল কার্ড দেখানো বলে বিবেচিত হবে।


ম্যাচের মোট সময়


ম্যাচের প্রতি অর্ধেই নির্ধারিত সময় ৪৫ মিনিট করে ম্যাচের মোট সময় ৯০ মিনিট। তবে খেলোয়াড়দের ইনজুরির কারণে, খেলোয়াড়রা ইচ্ছাকৃতভাবে সময় নষ্ট করলে ৪৫ মিনিট শেষে ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনা করে অতিরিক্ত সময় যোগ করা হয় সেটা ১ থেকে ৪ মিনিট পর্যন্ত হয়ে থাকে।


তবে খেলোয়াড়দের ইনজুরির কারণে, খেলোয়াড়রা ইচ্ছাকৃতভাবে সময় নষ্ট করলে কিংবা বদলি খেলোয়াড় মাঠে নামতে নষ্ট হওয়া সময় হিসাব করে রেফারি অতিরিক্ত সময় নির্ধারণ করতে পারেন।


৯০ মিনিট শেষে ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনা করে অতিরিক্ত সময় যোগ করা হয় সেটা ২থেকে ৮ মিনিট পর্যন্ত হয়ে থাকে।তবে অমিমাংশিত খেলার ফলাফল নিশ্চিত করা জরুরী হলে সে ক্ষেত্রে ৯০ মিনিটের পর আরো ৩০মিনিট সময় বাড়ানো হয়। তাতেও খেলা নিঃষ্পত্তি না হলে টাইব্রেকারের মাধ্যমে খেলার ফলাফল নির্ণয় করা হয়।


মাঠের ভিতরে এবং বাইরে বল


ম্যাচ চলাকালীন বল মাঠের ভিতরে থাকলে রেফারি খেলা বন্ধ করবেন না। একবার বল সম্পূর্ণরূপে সাদা টাচলাইন বা গোল লাইনের বাইরে চলে গেলে (রোলিং বা উড়ন্ত) খেলা আবার শুরু হবে থ্রো-ইন, রাউন্ড কিক বা কর্নার কিক (ক্রস করা লাইন জুড়ে)। যদি বলের সামান্য অংশও টাচলাইন বা গোল লাইনে থাকে, তাহলে বলটি মাঠের বাইরে ধরা যাবে না, খেলা চলবে।


গোল হওয়া


বলটি মাঠে বা বাতাসে গোল লাইন (ক্রসবারের নিচের সাদা রেখা) অতিক্রম করলেই গোল হয়, যদি না রেফারি অন্য কোনো সমস্যা না দেখেন।


অফসাইড


অফসাইড হল যখন প্রতিপক্ষের অর্ধেক প্রতিপক্ষের সমস্ত খেলোয়াড়ের পিছনে থাকে (গোলরক্ষক বাদে)। যতক্ষণ বল তার পায়ে যাচ্ছে, ততক্ষণ সেই খেলোয়াড় অফসাইড ফাঁদে পড়বে না। ধরুন একজন খেলোয়াড় প্রতিপক্ষের শেষ ডিফেন্ডারের সাথে বা তার সামনে একই লাইনে দাঁড়িয়ে আছে, এই ক্ষেত্রে তার সতীর্থ একটি থ্রু-পাস তুলেছে এবং সতীর্থ বল ছেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে রেস শুরু করে।


কারণ সতীর্থরা বল ফেলে যাওয়ার সময় তিনি পাশে ছিলেন। আবার ধরুন, একজন খেলোয়াড় পেনাল্টি বক্সের বাইরে ডান দিকে অফসাইডে দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু আক্রমণ বাম দিকে, তাহলে সে অফসাইডের ফাঁদে পড়বে না। কারণ দলের আক্রমণে তার কার্যকর ভূমিকা নেই।


আবার, অফসাইডে দাঁড়িয়ে থাকা কোনো খেলোয়াড় পরোক্ষ আক্রমণে অংশ নিলে বা বল ছাড়াই অংশ নেওয়ার মতো অবস্থায় থাকলে রেফারি অফসাইড বাঁশি বাজাতে পারেন। তবে ‘অ্যাকটিভ প্লে’ দিয়ে অফসাইড ধরা খুব কঠিন।


ফাউল এবং অসদাচরণ


যদি একজন খেলোয়াড় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অত্যধিক শক্তি প্রয়োগ করে, লাথি দেয়, ধাক্কা দেয় বা বেপরোয়াভাবে ব্যবহার করে, রেফারি তার বিরুদ্ধে একটি ফাউল বাঁশি বাজাবেন। খারাপভাবে ট্যাকল করা, ইচ্ছাকৃতভাবে হাত দিয়ে বল ধরা বা সময় নষ্ট করা ফাউল হবে।


ফ্রিক এবং পরোক্ষ ফ্রি-কিক


রেফারি ‘বিপজ্জনকভাবে খেলা’ বা ‘শরীর দিয়ে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়কে অবরুদ্ধ’ করার অপরাধের জন্য পরোক্ষ ফ্রি-কিক খেলতে পারেন। যদি এই কিকটি দ্বিতীয় ব্যক্তির স্পর্শ ছাড়াই গোলে প্রবেশ করে তবে এটি একটি গোল হবে না, এই কারণেই এটি পরোক্ষ।


সরাসরি ফ্রিক


যতক্ষণ বল গোলপোস্টে আশ্রয় নেয় ততক্ষণ সরাসরি ফ্রিকদের দ্বিতীয় খেলোয়াড়ের দ্বারা স্পর্শ করার প্রয়োজন হয় না। যাইহোক, স্থান-কাল-পাত্রে এই সমস্ত বিবেচনা করে রেফারি সরাসরি ফ্রি-কিকের জন্য বাঁশি বাজাতে পারেন।


রেফারি সরাসরি ফ্রি-কিক মারেন যখন একজন প্রতিপক্ষ একজন খেলোয়াড়কে থামানোর চেষ্টা করে যে বেপরোয়াভাবে তার পায়ে পা রেখে বা তার জার্সি টেনে বল নিয়ে আক্রমণ করছে।


পেনাল্টি কিক


এটিও একটি সরাসরি ফ্রি-কিক, তবে কিকটি পেনাল্টি স্পট থেকে নিতে হবে। বল পেনাল্টি বক্সের ভিতরে না বাইরে, পেনাল্টি বক্সে ফাউল হয়েছে কিনা এবং তা কতটা গুরুতর তা বিবেচনা করে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নেন।


পেনাল্টির জন্য রেফারি বাঁশি বাজান এবং বল পেনাল্টি বক্সের ভিতরে দলের পাশে লেগে গেলে প্রতিপক্ষ দলকে পেনাল্টি শট নেওয়ার আহ্বান জানান।


ফুটবল খেলার থ্রো-ইন


থ্রো-ইন যেখান থেকে বল টাচলাইন বা সাইডলাইনের বাইরে চলে যাবে। দুই পা মাটিতে ও মাথার উপরে রেখে বল ছুড়তে হবে। প্রতিপক্ষ দলগুলো একজন খেলোয়াড়ের স্পর্শে থ্রো-ইন করার সুযোগ পাবে।


গোল কিক


আক্রমণকারী দলের পায়ে আঘাত করে ডিফেন্ডিং দল গোল লাইন অতিক্রম করলে গোল কিক দেওয়া হবে। তারা তাদের নিজস্ব পেনাল্টি বক্সের ভিতর থেকে গোলে কিক করবে এবং কিক অবশ্যই পেনাল্টি বক্স অতিক্রম করবে। একটি গোল কিক থেকে সরাসরি গোলও হতে পারে।


কর্ণার কিক


বলটি যদি ডিফেন্ডিং দলের পা বা শরীর স্পর্শ করে এবং তাদের গোল লাইন অতিক্রম করে, আক্রমণকারী দল কর্নার কিক পাবে। কর্নার কিক নেওয়ার সময় প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের কমপক্ষে ১০ গজ দূরে থাকতে হবে।


বদলি খেলোয়াড়


খেলা চলাকালীন কোনো খেলোয়াড় আহত হলে, দলের কৌশলগত বা দলের অন্যান্য প্রয়োজনে ম্যাচ চলাকালীন বিকল্প স্থানান্তর করার নিয়ম রয়েছে, সেক্ষেত্রে প্রতি ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩ জন বিকল্পকে অনুমতি দেওয়া হবে।


(২০২০-২০২১) মৌসুমে, করোনা ভাইরাসের কারণে ক্লাব ফুটবলে ৫খেলোয়াড় পরিবর্তনের জন্য ফিফা নতুন নিয়ম চালু করেছে।


Comments

Popular posts from this blog

অখন্ড বাংলা আন্দোলন কেন ব্যর্থ হয়েছিল?

স্বাধীনতা অর্জনে রাজনৈতিক ব্যক্তি ও দেশ ও সংগঠনের অবদান